News & Events 2016:
Photos Bangladesh Book Fair 2016:
IMG_9546.JPG
IMG_9545.JPG
IMG_9547.JPG
IMG_9562.JPG
Bangladesh Book Fair 2016:
বাংলা একাডেমি বই মেলায় একাডেমির মহাপরিচালক জনাব শামসুজ্জামান, সচীব, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রনালয়,
জনাব শ্যাম সুন্দর সিকদার, ডঃ মিজানুর রহমান শেলি ও আমরা বন্ধুদের হাতে ডালাস প্রবাসী বন্ধু আবদুস সাত্তারের
বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান।
Click Below:
12743733_1999407003616866_5686390402980992889_n.jpg
My new book displayed in Bangladesh Book Fair, 2016:
Bangladesh_Book_Fair.png
Bangladesh_Book_Stall.png
Book Fair Bangladesh 2016:
Dear Friends and Family,
My new book has been published. It will be displayed in the:
'' 21st February Book Fair '' in Bangladesh.
Publisher: Academic Press & Publishers Library.
Let your visit be my encouragement.
I Hope my book brings joy to the readers.
অবসিত স্মরণ---জীবনের গল্পগুচ্ছ
Please read Abdus Sattar's new story 01/30/2016:
বন্ধু দিদার আর তাঁর মায়ের খড়ম জোড়া
--আবদুস সাত্তার
দিদার আমার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধু। সময় কাল ১৯৭৩। ক্লাসে দিদারের খ্যাতি বিদ্যা বিষয়ক। ক্লাসে তিনি তর্ক চালিয়ে যেতে পারেন অবলীলাক্রমে। চোখের পাতা কাঁপেনা তাঁর এতোটুকু। সেটা অভুতপূর্ব নয়। নুরুল আমিন, কামরুল আলম, শিপা হাফিজা আরও দু চারজন তা পারেন। শুধু অধিত বিদ্যার পাণ্ডিত্য নয় আমি দেখেছি কাব্যে, সাহিত্যে, শিল্পে দিদারের গভীর অনুরাগ। তাঁর গুন উদ্ভাবনে। তর্ক চলে, আলোচনা হয় বিশেষ করে আসাদুজ্জামান সারের পলিটিকাল সায়েঞ্চ ক্লাসে। কোন বিষয়েই তর্ক বাদ যায়না তাঁর -রাস্ট্রের গঠন কিংবা “হবস, লক আর রুশু”। খেতাবের সত্যতা যথাযথ যদিও বন্ধু ফরিদ মজা করে ক্লাসে তাঁর নাম দেন “ বিদ্যাবিশারদ “।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশুনা শেষে জীবনের তাগিদে আমরা বন্ধুরা কে কোথায় ছড়িয়ে পরলাম কেই বা জানে? তেতাল্লিশ বছর পর বন্ধু দিদারের সাথে আমার আবার দেখা হল ফেসবুকে। আমি দেখলাম উদ্দাম যৌবনের সেই তেজ তাঁর লিখনিতে-“আমার মায়ের পায়ের খড়ম”।
বন্ধু লিখেছেন তাঁর বালক বয়সের কথা। কেমন করে মায়ের শাসনে বেড়ে উঠেছেন ভাই বোন গুলু। মায়ের আসা পায়ের খড়মের শব্দে সচকিত হয়ে আবার কেমন করে পড়ায় মনযোগী হয়ে উঠেছেন সবাই। বন্ধু মনে রেখেছেন জীবন চলার পথে মায়ের নির্দেশ গুলু।
বিজ্ঞান এ প্রজন্মকে দিয়েছে গতির আনন্দ। এতে উত্তেজনা আছে। এ উত্তেজনা হয়তো সেদিনের বৃদ্ধা পিতামহীর ধ্যান, ধারনা, ভক্তি বিশ্বাসকে একটু হলেও প্রশ্ন করছে। পুরব, পশ্চিম, উত্তর, দক্ষিন, ঊরধ, অধঃ যদ্রিচ্ছ ভ্রমনের ক্ষমতা হোক এই প্রজন্মের। সাথে থাকুক খড়ম পরা মায়ের অনুশাসন থেকে শেখা ভক্তি, বিশ্বাস আর ভালবাসা। আজ নৈতিক দর্শনে আসুক বিজ্ঞানের গতি। ধন্য হোক মানব জীবন। এ দুনিয়ায় আর পরজনমে তোমার আমার মঙ্গল হোক, মঙ্গল হোক সব মায়ের। দিদারের মত অকৃপণ ভাষায় কীর্তিত হোক মায়ের কথা।
Please see Sattar's new story published in Prothom Alo Bangladesh Newspaper today, 01/17/2016.
Click Link Below:
http://www.prothom-alo.com/durporobash/article/742612/%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A6%A8%E0%A6%B6%E0%A7%80%E0%A6%B2-%E0%A6%95%E0%A6%A4-%E0%A6%AE%E0%A6%A8
September 27, 2015
Click below to read Sattar's latest story published in Bangladesh, Prothom Ao Newspaper.
http://www.prothom-alo.com/durporobash/article/640687/%E0%A6%98%E0%A7%81%E0%A6%98%E0%A7%81-%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%96%E0%A6%BF%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A6%A8
September 16, 2015
Click below to read Sattar's latest story pubished in Bangladesh, Prothom Alo newspaper:
http://www.prothom-alo.com/durporobash/article/633517/%E0%A6%9C%E0%A7%9F%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%AA
Distant Harmony - Stories from around the World
New listing click below to view:
http://www.lybrary.com/abdus-sattar-m-416530.html
Read the Story '' On the Euphrates '' selected by the University to teach in the Creative Writing Class:
https://books.google.com/books? - id=67166oxr31MC&printsec=frontcover#v=onepage&q&f=false
Book Signings & Honor Dates Hosted for '' Abdus Sattar, Author of Distant Harmony Stories from around the World: Click Below:
https://www.youtube.com/watch?v=T4TL9A-XBtc
https://www.youtube.com/watch?v=RfLOwbODLMo
Click below to read Sattar's latest story pubished in Bangladesh, Prothom Alo magazine:
http://www.prothom-alo.com/durporobash/article/518488/%E0%A6%86%E0%A6%A8%E0%A6%B0-%E0%A6%86%E0%A6%B2%E0%A7%80
Sattars Latest Story Published in Robbar Magazine in Bangladesh.
Clnk Below to read/see:
Robbar_Magazine_Sattars_Story_Published_2015.pdf
02.17.15
Please click the link below to view Sattar's latest story published in the Newspapaer, Prothom Alo, Bangladesh.
http://www.prothom-alo.com/durporobash/article/454402/%E0%A6%8F%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%95%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE
Original Story below:
গল্প
এলেনের রাজকন্যা
আবদুস সাত্তার|আপডেট: ১৮:১৬, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০১৫
১৬ বছর আগের কথা। দূর এক শহরে ফেব্রুয়ারির এক রাতে ঊর্ধ্বশ্বাসে এক যুগল ঘর থেকে বেরিয়ে আসে। হাতে সময় নেই। হাসপাতাল যেতে হবে। সে এক শীতের সন্ধ্যা। আকাশ থেকে ক্ষীণ চাঁদের আলো পথপাশে তরু শ্রেণির শীর্ষে তখনও অনেকটা নিষ্প্রভ। তড়িঘড়ি করে দ্রুতপায়ে তারা ছুটে চলে হাসপাতাল কক্ষে। এ অস্থিরতায় নিজেদের পায়ের শব্দ ছাড়া আর যেন কিছুই তাদের কানে বাজে না। যথাসময় চিকিৎসক আসেন। আসেন নার্স। প্রথম শিশুর জন্ম, মনে অজানা আশঙ্কার শেষ নেই। হাসপাতাল কক্ষে বসে অপেক্ষা যেন আরও সংশয়ের। সময় বয়ে যায় অনেক। অবশেষে সব অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে হঠাৎ যেন এক আশার সঞ্চার হয়। এক মৃদু কান্নার শব্দে আনন্দের জোয়ার বয়ে যায় সে কক্ষে। এ যে এক রাজকন্যার জন্ম! আনন্দের ঢেউ বয়ে যায় মা-বাবার মনে। বাড়িতে ফেরার পর কল্পনাদীপ্ত বাবার মন তখন ছুটে চলে দিগন্তের সীমানায়। আকাশে যেন বাতাসের মৃদু গান শুনতে পান বাবা। অনন্তযৌবনা এক নদীর দুকূল হতে যেন শুনতে পান ঢেউয়ের মাতন। এ এক বিস্ময়কর অনুভূতি! শ্রদ্ধা, বিনয় আর লজ্জাই এ রাজবাড়ির ভূষণ। এ অনুশাসনের প্রতি গভীর আস্থা রেখেই রাজকন্যা বড় হতে থাকে দিন দিন। শুধু তা-ই নয়, তার ছোট বোন শুহার প্রতি আদর আর ভালোবাসাও মা-বাবার চোখে তাকে আরও গুণান্বিত করে তোলে। ছোট বোনের সঙ্গে বয়সের ব্যবধানে স্বল্পতা থাকলেও সেখানে তার চলন যথার্থই বড় বোনের মতো। সত্যি বলতে কি, এ রাজকন্যার সৌন্দর্যের খ্যাতি এলেন শহরের অনেক ললনার মর্মবেদনার কারণ। রূপেগুণে অতুলনীয়া এমন সুন্দরীর দেখা খুব কমই মেলে। একদিনের কথা। এক বকুল ফোটার মৌসুমে বাবা তাকে নিয়ে গেলেন সিপ্রা নদি পাড়ে। সংগ্রহ করলেন অনেক বকুল ফুল। সাধ্যমতো পুরস্কৃত করতে চাইলেন তাকে। রাজকন্যা সব পুরস্কারের প্রতি অনাগ্রহ প্রকাশ করলেন। শুধু আগ্রহ প্রকাশ করলেন মানুষ আর মানবতার প্রতি। জ্ঞানপিপাসা তাকে নিয়ে গেল খ্যাতির চূড়ায়। ভাষার প্রতি এল অনেক দখল। অনেক বই পড়ে শেষ করল। তার পছন্দনীয় লেখকের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন স্তিভেন কিং এবং ওমর খৈয়াম। একদিন সবাইকে অবাক করে দিয়ে লিখে ফেলল তার ছোটগল্পের বই। প্রথম প্রকাশনা হলো যখন সে চতুর্থ শ্রেণিতে অধ্যয়নরত। পড়াশোনার পাশাপাশি আবার রপ্ত করল বেহালা।
এমনি করে দিন যায়। যায় মাস। বছর গড়িয়ে আসে। বসন্তে আসে নবজীবনের উত্তরণ। শরৎ আসে। আসে শীত। শুভ্র তুষার মেলায় ঢেকে যায় রাজকন্যার প্রাসাদ। আসে নতুন বছর। আজ সে ষোড়শী। মা-বাবার সংসারে নিমেষেই যেন ১৬ বছর কেটে যায়। এক অশান্ত ঢেউ বয়ে যায় তাদের মনে। কন্যা বেড়ে উঠেছে। জীবনের বাকি দিনগুলোতে তবুও তাদের কন্যা তাদের প্রাণে অম্লান এবং চিরসবুজ হয়ে থাকবে। আশীর্বাদ আর রাজমুকুট পরার সময় যেন ঘনিয়ে আসে। আজ ১৬ বছর বয়সেই তার পরিকল্পনা প্রয়োজন। এক অবসরে পরিকল্পনার প্রয়োজনে এ যুগল পার্কে কিছু সময় কাটায়। এখানে বসেই তারা রাজকীয় অতিথিবৃন্দের তালিকা তৈরি করে। যথারীতি বিরাট এক ভোজের আয়জন করা হয়। সুস্বাদু খাবারের তালিকায় থাকে পোলাও, কোরমা, কালিয়া, কোপ্তা, আরও কত কী! বাবার অশান্ত মন কল্পনায় উদ্দীপ্ত হয়ে ওঠে। মনে হয় রাজকন্যার জন্য কে যেন এক অদৃশ্য হাতে মণিমুক্তায় খচিত এক মুকুট এনে দেয় তাঁর হাতে। এ মুকুট পরিধানেই সব সংশয়ের পরিত্রাণ। এ মুকুটে আছে ঐশ্বরিক শক্তি। এ মুকুট যেন অশুভ শক্তি আর শত্রুর জন্য বিপৎসংকেত। মায়ের মনও কল্পনায় উদ্দীপ্ত। এক রাজার কুমার তার স্বপ্নে দেখা রাজ কন্যার খোঁজে যখন দুর্বার বেগে ঘোড়া ছোটাবে, তাকে নিশ্চয়ই এলেন শহরে এসে থমকে দাঁড়াতে হবে! বলতে ভুলি না যেন রাজকন্যার নাম সাব্রিনা। প্রণয়সূত্রে আবদ্ধ এ রাজকন্যা এলেনের রানি হয়ে তার দেশ শাসন করবে বহু বছর। আর মানবতার সেবায় তার নাম লেখা হবে ইতিহাসের পাতায়। (ডালাস, টেক্সাস, যুক্তরাষ্ট্র ৷ ই–মেইল: bhsattar@yahoo. com)
02.08.15:
Please click the link below to view Sattar's latest story published in the Newspapaer, Bangladesh USA News 24. Com.
http://www.bangladeshusanews24.com/art-&-article/2015/02/08/12793
ললিত অঙ্গের সুবাস
সাংবাদিক রিচার্ড মিলারের ফটোগ্রাফির খ্যাতি বহুবিদিত। তাঁর তুল্য ফটোগ্রাফার বড় বেশি নেই, এ কথা স্বীকার করেছেন অনেকেই। কর্মকুশলতার মাপকাঠিতে তাঁর দক্ষতা অসাধারণ। সাংবাদিকদের মধ্যে এ মনোভাবের বিপক্ষে কোনো সতেজ প্রতিবাদ নেই। ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসের বহু তথ্য জানেন তিনি। এসব বিবেচনা করেই বোস্টনের এক পত্রিকা ১৯৪০ সালে তাঁকে তাদের নিজস্ব সংবাদদাতা নিযুক্ত করে ভারতবর্ষে পাঠান। ভারতবর্ষ। এখানে এক আশ্চর্য অনুভূতি। বই পুস্তকে পড়া সিঁদুরপরা সেই মেয়েগুলো যেন জীবন্ত হয়ে চলে এখানে-সেখানে আর দিল্লির রাস্তায়। স্টেশনে ট্রেন লাইনের কুলিরা আপাদমস্তক চাদর মুড়ি দিয়ে বসে আছে ভোরের ট্রেনের অপেক্ষায়। সাইকেলের পেছনে খবরের কাগজ বোঝাই করে হকার চলেছে নিজ নিজ পথে। ভোরের এ সময়েও যানবাহনের চিহ্ন লেগে আছে সর্বত্র। নতুন দেশে এসে রিচার্ড মিলার টাঙ্গায় ওঠে রওনা হন তাঁর নতুন আবাসের উদ্দেশে। বাড়িটি সুদৃশ্য। একতলা দালান। ঈষৎ লাল ইটের। ফটকের গায়ে বড় হরফে লেখা বাড়ির নাম্বার। সাংবাদিকদের অভিরুচি অনুসরণ করে গড়ে উঠেছে এই ভবন। রিচার্ড মিলারের তালাশ পেয়ে বড়ই প্রীত হয়েছেন বাড়িতে অপেক্ষায় থাকা তাঁর এ খেদমতগার। বয়স পঞ্চাশের কোঠায়। পোশাক ও অঙ্গ আবরণে হিন্দু ধর্মের ভক্তি, বিশ্বাস আর সংস্কারের নিঃসন্দেহ নির্দেশ। তাঁর শিষ্টাচার তুলনা করার মতো। কপালের সিঁদুর আর সাদা চন্দনের ফোঁটা যেন এক ময়ূরকণ্ঠী বর্ণবিন্যাস। বাবুজি আপনিই বুঝি রিচার্ড মিলার? ঠিকই ধরেছেন। আর আপনি? বাবুজি আমার নাম রনদেব সরকার। শয়নকক্ষে পরিপাটি বিছানা। বিছানার পাশে ফুলদানিতে রাখা একগুচ্ছ রঙিন ফুল, খান কয়েক ম্যাগাজিন আর দৈনিক সংবাদপত্র। পরিচর্যায় লেশমাত্র ত্রুটি নেই কোনোখানে। ভারতে এসে বিপুল উদ্যমে কাজে লেগে গেলেন রিচার্ড মিলার। কাজ আর কাজ। দুপুর গড়িয়ে যায় সন্ধ্যার অন্ধকারে। রিচার্ড মিলার ছবি তোলেন আর তৈরি করেন সংবাদ শিরোনাম। বাড়ি ফেরেন অনেক রাতে। প্রতিদিন একই ধারা। ছবি তোলার কাজে খাটতে থাকেন সকাল থেকে সন্ধ্যা। নতুন করে শুরু করতে চান জীবন। দুর্গম হিমালয় পারাপার আর অসহযোগ আন্দোলনের বিরল ছবি তুলে এরই মধ্যে নাম কামাতে শুরু করেছেন বেশ। ভারতবর্ষে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ, সাম্প্রদায়িক হানাহানি, শ্রেণি প্রথা তাঁর সংবাদের মূল বিষয়। ১৯৪১ সাল। জাপান যুদ্ধ ঘোষণা করেছে ব্রিটেন আর আমেরিকার বিরুদ্ধে। ১৬ ফেব্রুয়ারি সুদূর প্রাচ্যে ব্রিটিশের সর্বশ্রেষ্ঠ ঘাঁটি সিঙ্গাপুরের পতন ঘটে। তারা দখল করে নেয় রেঙ্গুন। ভারতবর্ষ রক্ষার দায়িত্ব ব্রিটেনের এবং মিত্রশক্তি আমেরিকার প্রতি ব্রিটেনের যে কর্তব্য তার জন্য এই বিশ্বযুদ্ধে ব্রিটেনের প্রতি ভারতবর্ষের আনুগত্য প্রয়োজন। জাপানি সৈন্যসামন্ত এসে পড়েছে কাছে। ইতিমধ্যে জাপানিদের আসন্ন আক্রমণের সম্ভাবনায় বিচলিত হয়ে পড়েছে ভারতের ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ। ভারতবর্ষের বিক্ষুব্ধ জনমতকে শান্ত ও ইংরেজ অনুকূল করার মানসে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী চার্চিল ক্রিপস মিশনের কথা ঘোষণা করেন। ১৯৪২ সালের মার্চের ২২ তারিখ। ইম্পেরিয়াল সেক্রেটেরিয়েটের দক্ষিণ ব্লকে সার স্টাফোরড ক্রিপসের প্রথম কনফারেন্স। দরজায় সামরিক কড়া নিরাপত্তা। সাংবাদিকদের জন্য ইনফরমেশন ডিপার্টমেন্ট থেকে ব্যবস্থা হয়েছে প্রবেশপত্রের। ভারতবর্ষে রিচার্ড মিলারের অনেক বছর কেটে গেছে। এক সন্ধ্যার কথা। কাজের মধ্যে লঘু পদক্ষেপে কামরায় এসে যোগ দেন রনদেব সরকার। মুখোমুখি কিছুক্ষণ নতমুখী হয়ে দাঁড়িয়ে রনদেব বলেন, আপনার আশীর্বাদের অপেক্ষায় আছি বাবুজি। আপনার জন্য কী করতে পারি রনদেব? বয়স হয়ে গেছে অনেক বাবুজি। সুবিধামতো আমাকে বিদায় দিলে বাধিত হব। চোখে তাঁর নিঃসঙ্গতার অভিব্যক্তি। তারপর জামার পকেট থেকে বের করেন নিজের মেয়ের জন্য কেনা গিনি সোনার দুটি মুদ্রা। পাশে দেয়ালের লাইট জালিয়ে দিয়ে তাঁর একমাত্র মেয়ে ইভা সরকারের সর্বশেষ পরিচিতি দেন। এ বয়সে হিন্দু ধর্মের পবিত্র স্থান কাশির প্রতিও দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে তাঁর। মনস্থ করেছেন নিজকে যুক্ত করবেন প্রার্থনাকারীর দলে। মেয়ের বিয়েরও সময় হয়ে এসেছে। গয়না তৈরি, বাদ্যভাণ্ড, লোকলস্কর, ভোজের ব্যবস্থা সব মিলেই এ যে চরমতম আয়োজন। শাসকের জোর অর্থের যার পরিমাপ আছে, আর সাধকের জোর হৃদয়ের যার কোন শেষ নেই। ভেঙে পড়লেন রিচার্ড মিলার। প্রায় ১৪ বছরের কাজের ইতিহাস পেছনে রেখে একদিন রনদেব সরকার বিদায় নিলেন, চলে গেলেন বারানসি, তাঁর আপন ঠিকানায়। সময় বদলে গেছে অনেক। একদিন গঙ্গাস্নান দেখবেন বলে রিচার্ড গেলেন বারানসি। বারানসি হিন্দুদের পবিত্র জায়গা। ২০০ বছরের সাম্রাজ্যবাদ আর অবহেলার মধ্যে দিয়েও টিকে আছে বারানসি। পুণ্যকামী মানুষের আগমন আর কৌতূহলী মানুষের দর্শন অভিলাষ দ্বারা আজও এই স্থান বিশেষ উল্লেখযোগ্য। দূরদূরান্ত থেকে আসে লোক। আসে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান আরও নানা জাতির মানুষ। হোটেল থেকে অদূরে ঘাট পর্যন্ত হেঁটে চললেন রিচার্ড মিলার। হাঁটতে হাঁটতে তৃষ্ণা পেল তাঁর। পাশে এক দোকানিকে জিজ্ঞেস করলেন: এক গ্লাস পানি পেতে পারি কি? কলের পানি নাই বাবুজি। তবে একটা ডাব কিনতে পারেন। কত দাম? চার আনা। ভারতবর্ষে চার আনা দামের ডাব বিরল যে! কী করব বাবুজি, হিন্দু-মুসলমানের দাঙ্গায় ডাবের নাও এসে পৌঁছায়নি গঞ্জ থেকে। ঠিক আছে তা-ই দেন দেখি। চুমুকেই ডাবের পানি শেষ করে রিচার্ড হেঁটে চললেন। পথের মাঝে শোরগোল। ব্রিটিশ সরকার নিয়োজিত ভারতীয় পুলিশ টেনেহেঁচড়ে নিয়ে চলেছেন এক লোক। সে যে মহাত্মা গান্ধীর অহিংস্র আন্দোলনের অনুসারী। চোখের জল আর নাক থেকে গড়িয়ে পড়া রক্তে জামা লাল হয়ে গেছে। ক্লিক ক্লিক কিছু ছবি তুলে রিচার্ড এগিয়ে চললেন কাছে। পথচারীর কাছে জানতে চাইলেন, কী হয়েছে? কী আর? নিজ দেশের পুলিশ নিজের মানুষের ওপর অত্যাচার করছে। কেউ কোনো প্রতিবাদ করেনি কেন? কার সে সাহস ব্রিটিশ রাজের বিরুদ্ধে? রিচার্ড জানতে চাইলেন ঘটনার বিবরণ। চারিদিকে শুধু হাঙ্গামা। হে বিদেশি এখনই নিজের আস্তানায় ফিরে যাও। আজকে এই শহরেও কার্ফু দেবে বলে শুনেছি। গঙ্গার কূলে এসে পৌঁছলেন রিচার্ড মিলার। গঙ্গা শুধু নদীই নয়, নয় কেবল অর্থনীতির রূপরেখা। সমাজ সংসারে জীবনের সমস্ত পাপ, ক্ষুদ্রতা ও কলঙ্ক মুছে দেওয়ার এক বাহন গঙ্গা। ঘাটে বসা সাধুর সঙ্গে কথা বললেন রিচার্ড মিলার। সাধু বলেন, গঙ্গাতীরে দেহ রক্ষা-হিন্দুর অন্তিম অভিলাষ। শতসহস্র বছর ধরে জীবনান্তে ভক্তরা চেয়েছেন গঙ্গা মায়ের সান্নিধ্য। এখানে দূরদূরান্ত থেকে আসে হিন্দু সম্প্রদায়। চিতাভস্ম ভাসায় গঙ্গার জলে পরপারের শুদ্ধির আশায়। দূরদূরান্ত থেকে পুণ্যকামীরা আসে গঙ্গা মায়ের দর্শন আকাঙ্ক্ষায়। এর মহিমা সহস্র বছর ধরে ভক্তজনের সশ্রদ্ধ অন্তরের মধ্য দিয়ে রয়েছে অম্লান। এর আকর্ষণ দূরকালে প্রসারিত। কাহিনি শেষ হতেই মোহজাল ছিন্ন হয় রিচার্ড মিলারের, নেমে আসে বাস্তবের প্রত্যক্ষ ভূমিতে। আশ্চর্য মানুষের মন। আজ যেন ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে তাঁর মনের গভীরে। সন্ধ্যার ঈষৎ অন্ধকার। মৃদু চাঁদের আলো পড়েছে স্পন্দিত গঙ্গার জলে। অদূরে মন্দিরের পাশে কোথা থেকে যেন কুণ্ডলী পাকিয়ে ধোঁয়া উঠছে। শঙ্খধ্বনি উঠেছে পাশের কোনো অলিন্দ থেকে। ঘাট থেকে সব কোলাহল তখনও মুছে যায়নি। অভাবনীয় পরিবর্তন আসে রিচার্ড মিলারের জীবনে। আজকাল জাগরণে মনে আসে যে মুখ, সে তাঁর স্ত্রীর। রিচার্ড মিলারের স্ত্রী পরলোকগত। এক বোন মায়ের সঙ্গে আছে বোস্টনে। এখন ব্যস্ত জীবনের ধারা বদল করে যোগাযোগ সুদৃঢ় করতে চান পরিবারের সঙ্গে। তাঁর জীবনের অধিকাংশ সময় কেটেছে বইপত্র আর ফটোগ্রাফি নিয়ে। অকস্মাৎ নিজকে আবিষ্কার করেন হৃদয়ের অন্তহীন শূন্যতার মধ্যে। ঐহিক সুখের প্রশ্ন আজ তাঁর কাছে তুচ্ছ। দৃষ্টি নেই ঐশ্বর্য সম্ভারে। পশ্চাতে রাখা জীবন আবার পুনশ্চারণের সম্ভাবনায় যেন ভরে ওঠে আজ। বৈচিত্র্য বর্জিত জীবনের ক্লান্তিকর পুনরাবৃত্তির মধ্যে যেন তাঁর জীবন। সেই রাতেই দিল্লির উদ্দেশে বারানসি পরিত্যাগ করলেন রিচার্ড মিলার। রাত ১২টায় ট্রেন। বার্থে ক্লান্ত দেহ এলিয়ে দিয়ে রিচার্ড ভাবতে লাগলেন আমেরিকার ফেলে আসা দিনগুলোর কথা। কেমন করে সম্ভব হলো তাঁর ভারতবর্ষের এই আগমন ও অবস্থান? এই স্বল্পপরিসর জীবনের প্রায় সমুদয় অংশ রিচার্ড কাটিয়েছেন একা। আজ আবার সেই নিঃসঙ্গ একাকিত্বের মধ্যেই ফিরে যেতে চান রিচার্ড। অথচ এই দুয়ের মধ্যে কি অপরিসীম প্রভেদ। স্বজন যেন ডেকে বলে ‘ঘরে এস’। একদিন গভীর বেদনা আর লজ্জা নিয়ে রিচার্ড ফিরে চললেন আপন ঠিকানায়, প্রত্যাবৃত্ত হলেন আপন দেশে। অনেক রাজপথ, জনপদ ঘুরে জীবনের বর্ণ বিন্যাস দেখে রিচার্ড ফিরে এসেছেন তাঁর স্ত্রীর সমাধি পাড়ে। মনে তাঁর পথ হারানোর আবেগ। সমাধির পাষাণ খণ্ডে উৎকীর্ণ অপূর্ব সুষমায় দাঁড়িয়ে থাকা ভাস্করের দিকে তাকিয়ে সজল হয়ে ওঠে তাঁর চোখ। শরতের মৃদু বাতাসে দূর থেকে ভেসে আসা বনফুলের বাসের মতো প্রিয়ার রূপের সৌরভ এসে লাগে তাঁর দেহমনে। পত্র পল্লবের কাঁপন উছলিয়া সে যেন পায় তাঁর প্রিয়ার ললিত অঙ্গের সুবাস। (লেখক যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যোর ডালাসপ্রবাসী) বিডি ইউএসএ নিউজ২৪.কম/সো/৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫
02/04/2015
Please click the link below to view Sattar's latest story published in Bangladesh, Prothom Alo, Newspaper.
Click Link Below:
http://www.prothom-alo.com/durporobash/article/444064/%E0%A6%B2%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%A4-%E0%A6%85%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A7%81%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B8
সাংবাদিক রিচার্ড মিলারের ফটোগ্রাফির খ্যাতি বহুবিদিত। তাঁর তুল্য ফটোগ্রাফার বড় বেশি নেই, এ কথা স্বীকার করেছেন অনেকেই। কর্মকুশলতার মাপকাঠিতে তাঁর দক্ষতা অসাধারণ। সাংবাদিকদের মধ্যে এ মনোভাবের বিপক্ষে কোনো সতেজ প্রতিবাদ নেই। ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসের বহু তথ্য জানেন তিনি। এসব বিবেচনা করেই বোস্টনের এক পত্রিকা ১৯৪০ সালে তাঁকে তাদের নিজস্ব সংবাদদাতা নিযুক্ত করে ভারতবর্ষে পাঠান।ভারতবর্ষ। এখানে এক আশ্চর্য অনুভূতি। বই পুস্তকে পড়া সিঁদুরপরা সেই মেয়েগুলো যেন জীবন্ত হয়ে চলে এখানে-সেখানে আর দিল্লির রাস্তায়। স্টেশনে ট্রেন লাইনের কুলিরা আপাদমস্তক চাদর মুড়ি দিয়ে বসে আছে ভোরের ট্রেনের অপেক্ষায়। সাইকেলের পেছনে খবরের কাগজ বোঝাই করে হকার চলেছে নিজ নিজ পথে। ভোরের এ সময়েও যানবাহনের চিহ্ন লেগে আছে সর্বত্র। নতুন দেশে এসে রিচার্ড মিলার টাঙ্গায় ওঠে রওনা হন তাঁর নতুন আবাসের উদ্দেশে। বাড়িটি সুদৃশ্য। একতলা দালান। ঈষৎ লাল ইটের। ফটকের গায়ে বড় হরফে লেখা বাড়ির নাম্বার। সাংবাদিকদের অভিরুচি অনুসরণ করে গড়ে উঠেছে এই ভবন। রিচার্ড মিলারের তালাশ পেয়ে বড়ই প্রীত হয়েছেন বাড়িতে অপেক্ষায় থাকা তাঁর এ খেদমতগার। বয়স পঞ্চাশের কোঠায়। পোশাক ও অঙ্গ আবরণে হিন্দু ধর্মের ভক্তি, বিশ্বাস আর সংস্কারের নিঃসন্দেহ নির্দেশ। তাঁর শিষ্টাচার তুলনা করার মতো। কপালের সিঁদুর আর সাদা চন্দনের ফোঁটা যেন এক ময়ূরকণ্ঠী বর্ণবিন্যাস।
বাবুজি আপনিই বুঝি রিচার্ড মিলার? ঠিকই ধরেছেন। আর আপনি? বাবুজি আমার নাম রনদেব সরকার। শয়নকক্ষে পরিপাটি বিছানা। বিছানার পাশে ফুলদানিতে রাখা একগুচ্ছ রঙিন ফুল, খান কয়েক ম্যাগাজিন আর দৈনিক সংবাদপত্র। পরিচর্যায় লেশমাত্র ত্রুটি নেই কোনোখানে। ভারতে এসে বিপুল উদ্যমে কাজে লেগে গেলেন রিচার্ড মিলার। কাজ আর কাজ। দুপুর গড়িয়ে যায় সন্ধ্যার অন্ধকারে। রিচার্ড মিলার ছবি তোলেন আর তৈরি করেন সংবাদ শিরোনাম। বাড়ি ফেরেন অনেক রাতে। প্রতিদিন একই ধারা। ছবি তোলার কাজে খাটতে থাকেন সকাল থেকে সন্ধ্যা। নতুন করে শুরু করতে চান জীবন। দুর্গম হিমালয় পারাপার আর অসহযোগ আন্দোলনের বিরল ছবি তুলে এরই মধ্যে নাম কামাতে শুরু করেছেন বেশ। ভারতবর্ষে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ, সাম্প্রদায়িক হানাহানি, শ্রেণি প্রথা তাঁর সংবাদের মূল বিষয়। ১৯৪১ সাল। জাপান যুদ্ধ ঘোষণা করেছে ব্রিটেন আর আমেরিকার বিরুদ্ধে। ১৬ ফেব্রুয়ারি সুদূর প্রাচ্যে ব্রিটিশের সর্বশ্রেষ্ঠ ঘাঁটি সিঙ্গাপুরের পতন ঘটে। তারা দখল করে নেয় রেঙ্গুন। ভারতবর্ষ রক্ষার দায়িত্ব ব্রিটেনের এবং মিত্রশক্তি আমেরিকার প্রতি ব্রিটেনের যে কর্তব্য তার জন্য এই বিশ্বযুদ্ধে ব্রিটেনের প্রতি ভারতবর্ষের আনুগত্য প্রয়োজন। জাপানি সৈন্যসামন্ত এসে পড়েছে কাছে। ইতিমধ্যে জাপানিদের আসন্ন আক্রমণের সম্ভাবনায় বিচলিত হয়ে পড়েছে ভারতের ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ। ভারতবর্ষের বিক্ষুব্ধ জনমতকে শান্ত ও ইংরেজ অনুকূল করার মানসে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী চার্চিল ক্রিপস মিশনের কথা ঘোষণা করেন। ১৯৪২ সালের মার্চের ২২ তারিখ। ইম্পেরিয়াল সেক্রেটেরিয়েটের দক্ষিণ ব্লকে সার স্টাফোরড ক্রিপসের প্রথম কনফারেন্স। দরজায় সামরিক কড়া নিরাপত্তা। সাংবাদিকদের জন্য ইনফরমেশন ডিপার্টমেন্ট থেকে ব্যবস্থা হয়েছে প্রবেশপত্রের। ভারতবর্ষে রিচার্ড মিলারের অনেক বছর কেটে গেছে। এক সন্ধ্যার কথা। কাজের মধ্যে লঘু পদক্ষেপে কামরায় এসে যোগ দেন রনদেব সরকার। মুখোমুখি কিছুক্ষণ নতমুখী হয়ে দাঁড়িয়ে রনদেব বলেন, আপনার আশীর্বাদের অপেক্ষায় আছি বাবুজি। আপনার জন্য কী করতে পারি রনদেব? বয়স হয়ে গেছে অনেক বাবুজি। সুবিধামতো আমাকে বিদায় দিলে বাধিত হব। চোখে তাঁর নিঃসঙ্গতার অভিব্যক্তি। তারপর জামার পকেট থেকে বের করেন নিজের মেয়ের জন্য কেনা গিনি সোনার দুটি মুদ্রা। পাশে দেয়ালের লাইট জালিয়ে দিয়ে তাঁর একমাত্র মেয়ে ইভা সরকারের সর্বশেষ পরিচিতি দেন। এ বয়সে হিন্দু ধর্মের পবিত্র স্থান কাশির প্রতিও দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে তাঁর। মনস্থ করেছেন নিজকে যুক্ত করবেন প্রার্থনাকারীর দলে। মেয়ের বিয়েরও সময় হয়ে এসেছে। গয়না তৈরি, বাদ্যভাণ্ড, লোকলস্কর, ভোজের ব্যবস্থা সব মিলেই এ যে চরমতম আয়োজন। শাসকের জোর অর্থের যার পরিমাপ আছে, আর সাধকের জোর হৃদয়ের যার কোন শেষ নেই। ভেঙে পড়লেন রিচার্ড মিলার। প্রায় ১৪ বছরের কাজের ইতিহাস পেছনে রেখে একদিন রনদেব সরকার বিদায় নিলেন, চলে গেলেন বারানসি, তাঁর আপন ঠিকানায়। সময় বদলে গেছে অনেক। একদিন গঙ্গাস্নান দেখবেন বলে রিচার্ড গেলেন বারানসি। বারানসি হিন্দুদের পবিত্র জায়গা। ২০০ বছরের সাম্রাজ্যবাদ আর অবহেলার মধ্যে দিয়েও টিকে আছে বারানসি। পুণ্যকামী মানুষের আগমন আর কৌতূহলী মানুষের দর্শন অভিলাষ দ্বারা আজও এই স্থান বিশেষ উল্লেখযোগ্য। দূরদূরান্ত থেকে আসে লোক। আসে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান আরও নানা জাতির মানুষ। হোটেল থেকে অদূরে ঘাট পর্যন্ত হেঁটে চললেন রিচার্ড মিলার। হাঁটতে হাঁটতে তৃষ্ণা পেল তাঁর। পাশে এক দোকানিকে জিজ্ঞেস করলেন: এক গ্লাস পানি পেতে পারি কি? কলের পানি নাই বাবুজি। তবে একটা ডাব কিনতে পারেন। কত দাম? চার আনা। ভারতবর্ষে চার আনা দামের ডাব বিরল যে! কী করব বাবুজি, হিন্দু-মুসলমানের দাঙ্গায় ডাবের নাও এসে পৌঁছায়নি গঞ্জ থেকে। ঠিক আছে তা-ই দেন দেখি। চুমুকেই ডাবের পানি শেষ করে রিচার্ড হেঁটে চললেন। পথের মাঝে শোরগোল। ব্রিটিশ সরকার নিয়োজিত ভারতীয় পুলিশ টেনেহেঁচড়ে নিয়ে চলেছেন এক লোক। সে যে মহাত্মা গান্ধীর অহিংস্র আন্দোলনের অনুসারী। চোখের জল আর নাক থেকে গড়িয়ে পড়া রক্তে জামা লাল হয়ে গেছে। ক্লিক ক্লিক কিছু ছবি তুলে রিচার্ড এগিয়ে চললেন কাছে। পথচারীর কাছে জানতে চাইলেন, কী হয়েছে? কী আর? নিজ দেশের পুলিশ নিজের মানুষের ওপর অত্যাচার করছে। কেউ কোনো প্রতিবাদ করেনি কেন? কার সে সাহস ব্রিটিশ রাজের বিরুদ্ধে? রিচার্ড জানতে চাইলেন ঘটনার বিবরণ। চারিদিকে শুধু হাঙ্গামা। হে বিদেশি এখনই নিজের আস্তানায় ফিরে যাও। আজকে এই শহরেও কার্ফু দেবে বলে শুনেছি। গঙ্গার কূলে এসে পৌঁছলেন রিচার্ড মিলার। গঙ্গা শুধু নদীই নয়, নয় কেবল অর্থনীতির রূপরেখা। সমাজ সংসারে জীবনের সমস্ত পাপ, ক্ষুদ্রতা ও কলঙ্ক মুছে দেওয়ার এক বাহন গঙ্গা। ঘাটে বসা সাধুর সঙ্গে কথা বললেন রিচার্ড মিলার। সাধু বলেন, গঙ্গাতীরে দেহ রক্ষা-হিন্দুর অন্তিম অভিলাষ। শতসহস্র বছর ধরে জীবনান্তে ভক্তরা চেয়েছেন গঙ্গা মায়ের সান্নিধ্য। এখানে দূরদূরান্ত থেকে আসে হিন্দু সম্প্রদায়। চিতাভস্ম ভাসায় গঙ্গার জলে পরপারের শুদ্ধির আশায়। দূরদূরান্ত থেকে পুণ্যকামীরা আসে গঙ্গা মায়ের দর্শন আকাঙ্ক্ষায়। এর মহিমা সহস্র বছর ধরে ভক্তজনের সশ্রদ্ধ অন্তরের মধ্য দিয়ে রয়েছে অম্লান। এর আকর্ষণ দূরকালে প্রসারিত। কাহিনি শেষ হতেই মোহজাল ছিন্ন হয় রিচার্ড মিলারের, নেমে আসে বাস্তবের প্রত্যক্ষ ভূমিতে। আশ্চর্য মানুষের মন। আজ যেন ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে তাঁর মনের গভীরে। সন্ধ্যার ঈষৎ অন্ধকার। মৃদু চাঁদের আলো পড়েছে স্পন্দিত গঙ্গার জলে। অদূরে মন্দিরের পাশে কোথা থেকে যেন কুণ্ডলী পাকিয়ে ধোঁয়া উঠছে। শঙ্খধ্বনি উঠেছে পাশের কোনো অলিন্দ থেকে। ঘাট থেকে সব কোলাহল তখনও মুছে যায়নি। অভাবনীয় পরিবর্তন আসে রিচার্ড মিলারের জীবনে। আজকাল জাগরণে মনে আসে যে মুখ, সে তাঁর স্ত্রীর। রিচার্ড মিলারের স্ত্রী পরলোকগত। এক বোন মায়ের সঙ্গে আছে বোস্টনে। এখন ব্যস্ত জীবনের ধারা বদল করে যোগাযোগ সুদৃঢ় করতে চান পরিবারের সঙ্গে। তাঁর জীবনের অধিকাংশ সময় কেটেছে বইপত্র আর ফটোগ্রাফি নিয়ে। অকস্মাৎ নিজকে আবিষ্কার করেন হৃদয়ের অন্তহীন শূন্যতার মধ্যে। ঐহিক সুখের প্রশ্ন আজ তাঁর কাছে তুচ্ছ। দৃষ্টি নেই ঐশ্বর্য সম্ভারে। পশ্চাতে রাখা জীবন আবার পুনশ্চারণের সম্ভাবনায় যেন ভরে ওঠে আজ। বৈচিত্র্য বর্জিত জীবনের ক্লান্তিকর পুনরাবৃত্তির মধ্যে যেন তাঁর জীবন। সেই রাতেই দিল্লির উদ্দেশে বারানসি পরিত্যাগ করলেন রিচার্ড মিলার। রাত ১২টায় ট্রেন। বার্থে ক্লান্ত দেহ এলিয়ে দিয়ে রিচার্ড ভাবতে লাগলেন আমেরিকার ফেলে আসা দিনগুলোর কথা। কেমন করে সম্ভব হলো তাঁর ভারতবর্ষের এই আগমন ও অবস্থান? এই স্বল্পপরিসর জীবনের প্রায় সমুদয় অংশ রিচার্ড কাটিয়েছেন একা। আজ আবার সেই নিঃসঙ্গ একাকিত্বের মধ্যেই ফিরে যেতে চান রিচার্ড। অথচ এই দুয়ের মধ্যে কি অপরিসীম প্রভেদ। স্বজন যেন ডেকে বলে ‘ঘরে এস’। একদিন গভীর বেদনা আর লজ্জা নিয়ে রিচার্ড ফিরে চললেন আপন ঠিকানায়, প্রত্যাবৃত্ত হলেন আপন দেশে। অনেক রাজপথ, জনপদ ঘুরে জীবনের বর্ণ বিন্যাস দেখে রিচার্ড ফিরে এসেছেন তাঁর স্ত্রীর সমাধি পাড়ে। মনে তাঁর পথ হারানোর আবেগ। সমাধির পাষাণ খণ্ডে উৎকীর্ণ অপূর্ব সুষমায় দাঁড়িয়ে থাকা ভাস্করের দিকে তাকিয়ে সজল হয়ে ওঠে তাঁর চোখ। শরতের মৃদু বাতাসে দূর থেকে ভেসে আসা বনফুলের বাসের মতো প্রিয়ার রূপের সৌরভ এসে লাগে তাঁর দেহমনে। পত্র পল্লবের কাঁপন উছলিয়া সে যেন পায় তাঁর প্রিয়ার ললিত অঙ্গের সুবাস।
(লেখক যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যোর ডালাসপ্রবাসী)
July 2014:
Scribe Literary Magazine:
DeVry Faculty Literary Magazine
Spring/Summer 2014 Issue:
Puplished ABDUS SATTAR's latest story:
'' COMING HOME ''
Click below to read:
Scribe_Spring_Summer_2014.pdf
Distant Harmony was mentioned in:
Book Review: (BY SBWIRE) SBWIRE: Small Business Lastest Press release: June 2014:
(SBWire was developed in 2005 by Daniel Jones, a journalist who was fed up with his jam-packed inbox, filled with irrelevant press releases and pitches. He couldn’t find the news he was really interested in covering because all the pertinent releases were irretrievably lost among layers of what (to him) was simply PR junk. Dan’s goal was to build a site that could connect businesses and journalists based on mutual interest, not aggressive SPAM tactics. The result was a new kind of newswire that targets the media contacts most likely to be interested in your news. Better targeting means journalists trust SBWire to deliver the right kind of news releases, when and how they want to read them. Better trust means better visibility and a better response.)
SBWIRE: Small Business Press release: A Resource Journalists Trust...
June Addition:
Distant Harmony: Psychology, History & Biography Fuse in Stories from Around the World; Empowering Bold Journey of Self-Discovery
Written by Abdus Sattar, ‘Distant Harmony: Stories from around the World’ urges readers to examine their lives and connection to the past, nature and their fellow human beings. Bringing many of literature’s rarer themes under one cover, the book serves a powerful fable of mankind’s deep passion for freedom.
Irving, TX -- (SBWIRE) -- 06/21/14 -- While many authors whip their latest title into shape as quickly as possible, Abdus Sattar’s ‘Distant Harmony, Stories from around the World’ is a diligent literary project that took almost a decade to complete. Melding elements of his own life experience with those of the people around him, the powerful fable-style narrative offers a bold reminder of humankind’s resilience.
Synopsis:
Though the tales from author Abdus Sattar tell of poverty, grief, loss, and hunger throughout disparate cultures and diverse peoples, they communicate themes of a deep love of humanity and the unquenchable dignity of the human spirit. The selection “On the Euphrates” parallels the lives of two parents thousands of miles apart as they grieve for their children. “A Desert Sketch” provides a glimpse into the stark reality of Mariam, a Bedouin who ekes out a living with her father. With vivid imagery, Distant Harmony shows melodies of political oppression, regret, and longing, yet always tempered with love and hope.
As the author explains, his narrative covers humanity from all angles. “It is a fable of mankind’s deeply-rooted passions for freedom and the survival of the race and for a faith which carries with it the promise of salvation. Therefore, it is a book of pathos, humor, repulsiveness, beauty, and tragedy. It is a dark, disturbing picture of human striving and failing... and an enlightening book of truth, wisdom and hope,” says Sattar.
Continuing, “Everything is drawn from my own experiences with a little literal expression thrown in to add pace. All descriptions of characters, places, weather and clothes are based on true testimony from survivors, eyewitnesses and other published sources. The narrative required me to dig deep into over forty years of my own history. This in itself was an enlightening journey and I hope it acts as a catalyst for readers to do the same”
Since its release, the book has attracted a string of rave reviews.
Another reader, Brittany, was equally as impressed. She wrote, “A beautifully written book, with magnificent stories that reach your soul. I would recommend this book to anyone. One of the best books I have read in a long time.”
With the book’s demand expected to increase, interested readers are urged to purchase their copies as soon as possible.
‘Distant Harmony, Stories from around the World’ is available now: http://amzn.to/17pRs6G.
Abdus grew up in Bangladesh. He and his wife reside in Dallas, Texas.
Jim Collins 800-910-1373
Piece of Cake PR:
May 2014:
International News Bangladesh:
Prothom Alo Online News-Paper held a contest for 10 million Bangladeshis living abroad
88 Stories were selected
Votes received from 126 Countries for 23 days
The FIVE WINNERS are listed below:
Click Below to View:
Prothom_Alo_5_Winners_of_the_Story_Contest.docx
International:
Author: Abdus Sattar
Comments Welcome at:
bhsattar@yahoo.com
Lastest Story Published in Prothom Alo Bangladesh News Paper:
Please VOTE for my story: Click below: A vote BOX will appear to the
left of the story. Thank you!
Name of the story: স্বর্গ সুধার বিপরীতে
Click Below:
স্বর্গ সুধার বিপরীতে
আবদুস সাত্তার| আপডেট: ০২:৫৬, এপ্রিল ১৪, ২০১৪
অজানাকে জানা, আর অজয়কে জয় করার প্রবৃত্তি নিয়েই মানুষের জন্ম। জ্ঞান অন্বেষণের এই বাসনা ছিল বলেই দূর দেশে এসেছি একথা নিশ্চিত করে বলতে পারি না। তবে এ পরবাসে আত্মার স্বাধীনতা ম্লান হয়েছে, ক্ষীণ হয়েছে প্রাণের স্পন্দন এ কথা সহজেই বলতে পারি। আমার ছেলেবেলা কেটেছে অনন্ত যৌবনা মেঘনার পারে, অগণিত নিরন্ন মানুষের ভিড়ে । শীতের মৌসুমে ছয় আনা দামের মায়ের কিনে দেয়া লাল রাবারের জুতা মনে যে বিচিত্র অনুভূতির জন্ম দিয়েছে, সন্দেহ হয় নবাব সিরাজের হাজার টাকা দামের দু পাটি নাগরাও তাকে সে শিহরণ দিতে পারতো কি না। এমনি করে দিন গেছে, গেছে মাস, বছর গড়িয়ে এসেছে। তারুণ্যের চপলতা আর সোনালী সুখের নেশায় একদিন আসতে চেয়েছি সুদূর আমেরিকায়। খরচের প্রশ্নেই বিপত্তি। এত টাকা কোথায়? বাবা বললেন “বর্গা জমির স্বল্প আয়ে টিকিটের সংকুলান সম্ভব নয়”। মা বললেন “আমার হাতের বালা খুলে নাও, ছেলেকে মানুষ হতে হবে”। ১৯৮৩ সাল। ওকলাহোমার এক বিশ্ববিদ্যালয়। এখানেই আমরা কজন বাংলাদেশের ছাত্র-ছাত্রী। সারা সপ্তাহের ক্লাস সেরে সপ্তাহ শেষে একশো মাইল দূরে ডালাস যাই চাকরি করতে। শনি, রবি দুদিনের জন্য রুম ভাড়া করা আছে ডালাসে। একই রুমে বেশ কয়েকজন। একটু অসুবিধা হলেও পয়সা বাঁচানোর তাগিদে আমরা তা মেনে নেই। ওকলাহোমা থেকে ডালাস, প্রতি যাত্রীর তেল খরচ দুই ডলার। গাড়ির মালিকের কোনো তেল খরচ নেই। আমরা তাতেই ধন্য। গাড়ির মালিকও আমাদের সাহায্য করে স্বস্তিবোধ করেন। সোজা কথা নয়। গাড়ি কিনতে মঞ্জু ভাইকে প্রায় দুই হাজার ডলার খরচ করতে হয়েছে। উকিল মামার গাড়ির দাম কোনদিন জানা হয়নি। সপ্তাহ শেষের এ চাকরির মধ্যে কেউ রুমবয়, কেউ কুক, কেউবা হোটেলের ক্লার্ক। ডিস ওয়াসার হয়েই আমি ছিলাম ধন্য। মনে অনেক আশা। আমার মায়ের সোনার বালার সুরাহা একদিন অবশ্যই হবে। আমেরিকা। রঙিন এ দেশ। সাজানো এর সংসার। অতি সন্তর্পণে প্রাচুর্য দিয়ে নাগরিক সাজিয়ে নিয়েছে তাদের আবাস ভূমি। পড়াশুনার শেষে চাকরি আর মেলে না। সঙ্কোচ আর ব্যর্থতার মাঝে আমি যেন হারিয়ে যাই। নিজের অগ্রগতি আর পারিবারিক প্রত্যাশার মধ্যে ব্যবধান বেড়ে চলে দিন দিন। সুখ আসে না। নতুন করে আবার স্বপ্ন দেখি। সুখের নেশায় আমি ছুটে চলি দূর হতে দুরান্তরে, মিসিসিপি পার হয়ে আরও বহুদূরে। চাকুরির আশায় ছুটে চলি টেনেসি প্রদেশে। কলারাডোর পাহাড় চুড়ায় দেখি শুভ্র তুষারের মেলা। মার্ক টোয়েনের সমাধিতে খুঁজে পাই ইতিহাসের ছোঁয়া। তবুও তৃষ্ণা মেটে না। আমার মন মিশে রয় বাংলাদেশের কৃষকের লাঙ্গলের ফলায় আর দোয়েল পাখির মৃদু গুঞ্জনে। মন ছুটে যায় অবারিত হলুদ সরিষা ক্ষেতের পাশে আমার বীরাঙ্গনা বোনের সমাধিতে; সর্পিল আকারে চলে যাওয়া মেঠো পথের পাশে সুখন আলীর কুঁড়েঘরে। মন ছুটে চলে কিষাণীর রঙিন স্বপ্নে আর কঠিন মাটির তলে শায়িত মায়ের পাশে। এমনি করে এগার বছর কেটে যায়। ১৯৯৭ সনের কথা। একদিন এক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চাকরির ডাক আসে। সেই থেকে শুরু আজ আমি সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপদেষ্টা হিসেবে কর্মরত। ইতিমধ্যে আমার লেখা ছোট গল্পের একখানা বই আমেরিকা থেকে প্রকাশিত হয়েছে। বাংলাদেশে ২০১৩ সনের হে বই মেলা আর দৈনিক পত্রিকায় এর উল্লেখ আছে; আরও উল্লেখ আছে আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি ক্লাসে। হে স্বজন প্রবাস যদি হয় স্বর্গ সুধার মতো তার বিপরীতে আছে প্রাণের হুতাশ। জীবিকার প্রয়োজনেই আমরা কজন এখানে। প্রবাসে- দেশের মানুষ আর মাতৃভূমি প্রতিদিনই আমাদের ঋণী করে তুলে। এই ঋণ কোনদিনই শোধ হবার নয়। অনেকদিন পরে স্মরণ করেছো বন্ধু। তোমাদের কি দিই বলো! তোমাদের জন্য রইলো আমাদের ভালোবাসা আর সারা বেলার স্বপ্ন এবং সত্য, শোভন, কল্যাণ। যুক্তরাষ্ট্র (লেখার আই.ডি : ৩৫)
Local News: 03.15.14
Author: Abdus Sattar
Composed and Performed: The Princess of Allen:
Bengali Version:
এলেনের রাজকন্যা
আব্দুস সাত্তার
ষোল বছর আগের কথা। দূর এক শহরে ফেরুয়ারির এক রাতে ঊর্ধ্বশ্বাসে এক যুগল ঘর থেকে বেরিয়ে আসে। হাতে সময় নেই। হাসপাতাল যেতে হবে। সে এক শীতের সন্ধ্যা। আকাশ থেকে ক্ষীণ চাঁদের আলো পথপাশে তরুশ্রেনীর শীর্ষে তখনও অনেকটা নিস্প্রভ।
তড়িঘড়ি করে দ্রুত পায়ে তারা ছুটে চলে হাসপাতাল কক্ষে। এ অস্থিরতায় নিজেদের পায়ের শব্দ ছাড়া আর যেন কিছুই তাদের কানে বাজেনা। যথাসময় ডাক্তার আসে। আসে নার্স। প্রথম শিশুর জন্ম-মনে অজানা আশঙ্কার শেষ নেই। হাসপাতাল কক্ষে বসে অপেক্ষা যেন আরও সংশয়ের। সময় বয়ে যায় অনেক। অবশেষে সব অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে হটাত যেন এক আশার সঞ্ছার হয়। এক মৃদু কান্নার শব্দে আনন্দের জোয়ার বয়ে যায় সে কক্ষে। এ যে এক রাজকন্যার জন্ম!
আনন্দের ঢেউ বয়ে যায় বাবা মা এর মনে। যখন বাড়ী এলেন কল্পনাদীপ্ত বাবার মন তখন ছুটে চলে দিগন্তের সীমানায়। আকাশে যেন বাতাসের মৃদু গান শুনতে পান বাবা। আনন্ত যৌবনা এক নদীর দুকুল হতে যেন শুনতে পান ঢেউয়ের মাতন। এ এক বিস্ময়কর আনুভুতি!
শ্রদ্ধা, বিনয় আর লজ্জাই এ রাজ বাড়ীর ভূষণ। এ অনুশাসনের প্রতি গভীর আস্থা রেখেই রাজকন্যা বড় হতে থাকে দিন দিন। শুধু তাই নয় তার ছোট বোন শুহার প্রতি আদর আর ভালবাসাও বাবা মা এর চোখে তাকে আরও গুণান্বিত করে তুলে। ছোট বোনের সাথে বয়সের বেবধানে স্বল্পতা থাকলেও সেখানে তার চলন যথার্থই বড় বোনের মত।
সত্যি বলতে কি এ রাজ কন্যার সৌন্দর্য খ্যাতি এলেন শহরের অনেক ললনার মর্মবেদনার কারন। রূপে গুনে অতুলনীয়া এমন সুন্দরীর দেখা খুব কমই মেলে। এক দিনের কথা। এক বকুল ফোটার মৌসুমে বাবা তাকে নিয়ে গেলেন সিপ্রা নদি পারে। সংগ্রহ করলেন অনেক বকুল ফুল। সাধ্যমতো পুরস্কৃত করতে চাইলেন তাকে। রাজকন্যা সব পুরস্কারের প্রতি অনাগ্রহ প্রকাশ করলেন। শুধু আগ্রহ প্রকাশ করলেন মানুষ আর মানবতার প্রতি। জ্ঞান পিপাসা তাকে নিয়ে গেল খ্যাতির চুড়ায়। ভাষার প্রতি এল অনেক দখল। অনেক বই পড়ে শেষ করলেন। তার পছন্দনীয় লেখকের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হোল স্তিভেন কিং এবং আব্দুস সাত্তার। একদিন সবাইকে অবাক করে দিয়ে লিখে ফেললেন তার ছোট গল্পের বই। প্রথম প্রকাশনা হোল যখন সে চতুর্থ শ্রেণীতে অধ্যয়নরত। পড়াশুনার পাশাপাশি আবার রপ্ত করলেন বেহালা।
এমনি করে দিন যায়। যায় মাস। বছর গড়িয়ে আসে। বসন্তে আসে নব জীবনের উত্তরন। শরত আসে। আসে শীত। শুভ্র তুষার মেলায় ঢেকে যায় রাজকন্যার প্রাসাদ। আসে নতুন বছর। আজ সে ষোড়শী।
বাবা মা এর সংসারে নিমেষেই যেন ষোল বছর কেটে যায়। এক অশান্ত ঢেউ বয়ে যায় তাদের মনে। কন্যা বেড়ে উঠেছে। জীবনের বাকী দিন গুলুতে তবুও তাদের কন্যা তাদের প্রানে অম্লান এবং চিরসবুজ হয়ে থাকবে। আশীর্বাদ আর রাজমুকুট পরার সময় যেন ঘনিয়ে আসে। এ মহুরতেই তার পরিকল্পনা প্রয়োজন। এক অবসরে পরিকল্পনার প্রয়োজনে এ যুগল পার্কে কিছু সময় কাটায়। এখানে বসেই তারা রাজকীয় অতিথিবৃন্দের তালিকা তৈরি করে। যথারীতি বিরাট এক ভোজের আয়জন করা হয়। সুস্বাদু খাবারের তালিকায় থাকে পোলাও, কোরমা, কালিয়া, কোপ্তা, আরও কত কি!
বাবার অশান্ত মন কল্পনায় উদ্দীপ্ত হয়ে উঠে। মনে হয় রাজকন্যার জন্য কে যেন এক অদৃশ্য হাতে মনি মুক্তায় খচিত এক মুকুট এনে দেয় তার হাতে। এ মুকুট পরিধানেই সব সংশয়ের পরিত্রান। এ মুকুটে আছে ঐশ্বরিক শক্তি। এ মুকুট যেন অশুভ শক্তি আর শত্রুর জন্য বিপদ সংকেত। মায়ের মনও কল্পনায় উদ্দীপ্ত। এক রাজার কুমার তার স্বপ্নে দেখা রাজ কন্যার খোঁজে যখন দুর্বার বেগে ঘোড়া ছুতাবে, তাকে নিশ্চয়ই এলেন শহরে এসে থমকে দাঁড়াতে হবে! বলতে ভুলিনা যেন রাজ কন্যার নাম সাব্রিনা। প্রনয় সুত্রে আবদ্ধ এ রাজকন্যা এলেনের রানী হয়ে তার দেশ শাসন করবে বহু বছর। আর মানবতার সেবায় তার নাম লিখা হবে ইতিহাসের পাতায়।
English:
The Princess of Allen
Abdus Sattar
Late one February evening in the little town of Allen, Texas, a couple left their home and headed down the highway for the hospital.
The evening was chilly, and a sickle moon cast its thin light down on the trees and buildings.
The couple rushed as they walked along the corridor of the hospital, hearing little else but their own heavy footsteps. They headed towards the maternity ward.
The doctors and nurses began to come in. The first-born is always chilling, and so is the long anxious waiting time. At last, there was great rejoicing in the ward and the silence was broken by a soft crying tone:
A princess was born.
The parents grew happy. Once home, the father’s mind made a voyage with imaginations: To him, bright keening melodies fell from the sky. The earth began to move. It seemed like mountains trembled, lakes spilled over their shorelines, and great stones split apart.
At home, the qualities that were highly prized in the family were obedience and humility. The princess was accustomed to the strict rules and regulations of her parents.
However, to her parents, she was doubly precious: not only was she their love and support, but she was a loving character to her little sister Shuha, who was born some years later.
If truth be told, the princess was also of rare beauty unmatched in their neighborhood. Such loveliness, as her mother well knew, had its attendant dangers.
The princess’ good deeds were gloriously emphasized by her parents. Once, during the precious season of bokul blossoms, her father took her to the highest meadow and collected some flowers for her. Her parents offered the girl anything she wanted within their means. It was a measure of her virtue that she asked for only one thing: a better knowledge and understanding of humanity. With her curiosity and new learning, the princess’ scholarly reputation soared.
Her linguistic skills enabled her to enjoy many books written along with her favorite authors Stephanie Meyer, Joanne Rawlings, Abdus Sattar, and Stephen King. To everyone’s surprise, she had published her first little storybook in fourth grade.
She also started learning violin while maintaining excellent grades in her school studies.
As each year passed, life awakened with spring’s promise of renewal and growth. As year follows year, life constantly prepares one for what is to come. As autumn faded into winter, a soft blanket of snow shrouded the princess’ home. Soon, it was a new year. The princess grew, fulfilling all the promise of her early beauty and virtue. She was now sixteen.
The time came quickly in the parent’s reign when the mother told the father that their true crown and blessing awaited the princess. One day, the family walked through the park and uplands until at last they came to a lake, where the white swans cried softly through the mist.
They had planned the sweet sixteen party for their little princess.
Most disturbing of all was the mental situation of the parents seeing their little princess growing up fast. Forever after, the parents would be vulnerable, while the princess would remain forever green in their hearts.
Every arrangement has been made for the party. They ordered up a feast of many rare dishes and delicacies. Over one hundred guests had been invited to celebrate the princess’ sixteenth birthday and the family’s good fortune.
The father was racked by an insatiable restlessness. His mind floated with eternal infinity. He imagined a hand breaking through the mist, holding up a crown jeweled with precious diamonds and stones. In silence, he grasped the crown. The crown would be his daughter’s strength, for it was magically empowered; no evil could defeat the princess as long as she wore it, and the crown was an enchanted talisman against injury.
The mother could detect the future even before it happened. Soon, the princess would be off to the university and then a prince would be searching his kingdom for the loveliest maiden to wed, and he would travel no further than Allen.
The princess would marry the prince and rule as queen of all the land. And indeed, the name of the princess was Sabrina.
International News:
Bangladesh International Book Fair:
Included:
Distant Harmony Stories from around the World in the 2014 Book Review and Fair:
Click Below:
Bangladesh_Newspaper_Book_Reveiws_2014.docx
International News:
Robbar International Magazine Published Abdus Sattar's latest Story:
Feb 9th 2014
Click below:
Robbar_International_Magazine.pdf
Bangladesh News:
Dhaka University classmates of 1973 recently honored Abdus Sattar with a 40 year reunion dinner and the celebration for his newly published book: Distant Harmony -Stories from around the World.
Read Abuds Sattar's newest story in the Scribe magazine.
Click below:
Scribe_Fall_Winter_2013.pdf
Scribe
DeVry Faculty Literary Magazine
Fall/Winter 2013 Issue
Look deep into nature, and then you will understand everything better.
~Albert Einstein
Scribe
DeVry Faculty Literary Magazine
Scribe
Publishes essays, stories, poems, memoirs, and digital artwork created by professors teaching for DeVry University. The magazine invites professors teaching in all modalities to submit their work. Editorial decisions are based on independent reviews and only the highest-quality work is selected for publication.
All submissions are reviewed by the magazine’s review committee. The committee is comprised of faculty and peers (as possible). Committee recommendations are generally followed; however, the managing editors make the final decision and reserve the right to revise all submissions for content, format, and correctness.
Submissions should be submitted online via the magazine’s eCollege shell. Submissions must be accompanied by a signed release form, available from the eCollege shell or by email request to one of the managing editors.
Managing Editors:
Colleen Mallory, Judith McCarthy, Barbara Stevens
Review Committees:
Essays:
Jerry Durbeej—chair, David Layton, Phillip Theibert
Film Review:
Ann Tschetter—chair
Graphics & Images:
Barbara Burke—chair, Barbara Stevens
Memoirs/Anecdotes:
Barbara Stevens—chair, Michael Dufresne, Susann Kyriazopoulos
Poetry:
Colleen Mallory—chair, Catherine Coan, Mark Geller, Robert Lawrence, Eric Wright
Short Stories:
Judith McCarthy—chair, Tara Houston
© 2013 by DeVry University
All rights reserved. The content provided herein belongs to the authors and does not necessarily reflect the views of DeVry Education Group., its assigns, or subsidiaries.
Highland Landmark V
3005 Highland Parkway - 4th Floor
Downers Grove, IL 60515-5799
Southeastern Oklahoma State University
Alumni Association
Alumni Today
2013 Edition: (From the year 1930 to 2013)
Reognized Abdus Sattar as an author for his recently published book:
Distant Harmony, Stories from around the World.
WordSharp.net:
Added Distant Harmony to their Book-shelf...
As a must read!
Thursday, June 6, 2013 from 5:30 PM to 7:30 PM (CDT)
The Writer's Garret:
The Writer’s Garret Literary Center fosters the education and development of readers, writers, and audiences by putting them in touch with quality literature, each other, and the communities in which they live and write.
Come, get inspired. Come and meet Mr. Sattar, author of Distant Harmony: Stories from around the World.
We promise you an experience Beyond Words!
The Writer's Garret is an exempt nonprofit under section 501(c)(3) of the Internal Revenue Code.
** THIS EVENT IS OPEN TO THE PUBLIC **
“Meet the Authors” at Vitruvian Park''
Event:
- “Meet the Authors” at Vitruvian Park
- Start:
- June 6, 2013 5:30 pm
- End:
- June 6, 2013 7:30 pm
- Venue:
- Vitruvian Park
- Address: Google Map
-
3875 Ponte Avenue, Addison, TX, 75001, United States
On Thursday, June 6, 2013, “Meet the Authors” from 5:30pm – 7:30pm at Vitruvian Park. The Writer’s Garret is honored to feature; Nan Cuba, Ann Fields, and Abdus Sattar, on the Wildlife Observation Deck, starting with a Cocktail Hour (catered by The Break – Vitruvian Park’s newest restaurant).
FOR MORE INFORMATION ABOUT THE WRITER’S GARRET, GO TO:
http://www.writersgarret.org/
Nan Cuba is the author of Body and Bread (Engine Books), one of “Ten Titles to Pick Up Now” in O, Oprah’s Magazine. She also co-edited Art at our Doorstep: San Antonio Writers and Artists (Trinity University Press), and published other work in such places as Quarterly West, Columbia, Antioch Review, Harvard Review and storySouth. As an investigative journalist, she reported on causes of extraordinary violence in LIFE, Third Coast, and D Magazine. She is founder and executive director emeritus of the nonprofit literary center, Gemini Ink (www.geminiink.org), and an associate professor of English at Our Lady of the Lake University in San Antonio.
http://nancuba.com/
Ann Fields began her writing career in 1995 with the publication of her first romance novel, After Hours. Since then, Fields has published three additional romance novels, Second Time Around, Love Everlasting, and Give and Take, which garnered a nomination for Best Multi-Cultural Romance Award by Romance Writers of America. Fuller’s Curse is her debut in the horror genre.
Fields also has published in non-fiction, authoring the book Stop Stalling and Write as well as numerous articles, which have appeared in Teen Graffiti, Basic, and other magazines.
Her short stories have been published in A Legacy of African American Literature and Bouquet: A Delightful Collection of Mother’s Day Romances.
http://annfields.com/
Abdus Sattar began writing while working as a senior advisor at a renowned university. He continues to work in the field of higher education. His writings describe his personal experiences and his discovery in ordinary people. He has written several short stories for magazines and community newspapers and screenplays for short films. Abdus grew up in Bangladesh. He and his wife reside in Dallas, Texas.
Journeying from continent to continent and finding beauty in all of nature and every example of humanity, Distant Harmony presents a collection of short stories examining our lives and the ways in which we are connected to our past, to nature, and to our fellow human beings.
Though the tales from author Abdus Sattar tell of poverty, grief, loss, and hunger throughout disparate cultures and diverse peoples, they communicate themes of a deep love of humanity and the unquenchable dignity of the human spirit. The selection “On the Euphrates” parallels the lives of two parents thousands of miles apart as they grieve for their children. “A Desert Sketch” provides a glimpse into the stark reality of Mariam, a Bedouin who ekes out a living with her father.
With vivid imagery, Distant Harmony shows melodies of political oppression, regret, and longing, yet always tempered with love and hope.
http://distantharmony.com/
Residents, Family, and Friends are encouraged to come out to meet these talented authors, enjoy the Cocktail Hour, and an evening in the Park!
Location:
Photos Vitruvian Park & Events:
Prior Events: http://www.releasewire.com/press-releases/distant-harmony-psychology-history-biography-fuse-in-stories-from-around-the-world-empowering-bold-journey-of-self-discovery-360225.htm
Devry University, Celebrated National Library Week - April 16, 2013:
http://www.youtube.com/watch?feature=player_detailpage&v=RfLOwbODLMo
Abdus Sattar, Books signing on March 29, 2013 - Irving Arts Center:
http://www.youtube.com/watch?feature=player_detailpage&v=T4TL9A-XBtc
Special Thanks to Abra Haque & family:Thank you for all the support...
Let the proceeds of this book, our insights, initiative and words of wisdom evoke the mood and deepen the meaning of life of a cancer patient. Proceeds are donated to MD Anderson Cancer Center, Houston, Texas, USA.
Abdus Sattar
|